Our Story

আমি ছোট বেলা থেকেই আম্মু খালামনিদের সাথে মার্কেটে যেতাম,বড় হওয়ার পরেও আমি তাদের সাথে এখনো সময় পেলে মার্কেটে যাই। যেই দিনের জন্য আমি অনলাইনে অথবা পাকিস্তানি ড্রেস এর বিজনেস শুরু করি,সেই দিনের ঘটনাই বলি।
হয়তো ঈদ ছিল, ঈদের জন্য শপিং এ গেলাম, খালামনিরা পাকিস্তানি ড্রেস কেনাকাটা করছে অনেক দামী, আমরা জেনে থাকবো শপিংমল গুলাতে ড্রেস এর দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে। তখন আমি এসব ব্র‍্যান্ড বা পাকিস্তানি ড্রেস নিয়ে কোনো ধারনাই ছিলোনা। যাই হোক খালামনিরা যখন কেনাকাটা করছিল, পাশ থেকে ২টা মেয়ে ১টা ড্রেসের দিকে তাকিয়ে বলছিল যে, ইশশি রে আর যদি কিছু টা বেশি হতো এই ড্রেস টা আমি কিনতাম, এইটা বলে তারা চলে গেলো। আমি তাকিয়ে দেখসিলাম তাদের, কথা গুলো আমার সামনেই বলছিল। ঠিক একটু পরেই আরো ২জন মেয়ে আসে তাদেরও ২০০-৩০০টাকা সর্ট ছিল, মানে বাজেটের বাইরে তাও ব্যাগ খুজে কোনোরকমে টাকা মিলায় তাও ২০০ টাকা কম। দোকানদার আমার সামনে তাকে ফিরিয়ে দেয়। ১০মিনিট এর ব্যবধানে ২টা ঘটনা আমার সামনে ঘটে।
আমাদের নারায়ণগঞ্জ এ ও এমন অসংখ্য ঘটনা আমি দেখি যে অল্প কিছু টাকার জন্য পছন্দের ড্রেসগুলো অনেকেই কিনতে পারেনি। বিন হামিদ এর এই ড্রেসগুলোর একটা রিজেনেবল প্রাইজ থাকে, অনেকের শখ থাকে যে এই প্রাইজ থাকলে হয়তো কেনা যাইতো, কিন্তু ঈদ আসলে দোকানদার রা আকাশের চাঁদ পেয়ে বসে। দাম ডাবল নেয় বা বাড়িয়ে দেয়। এসব বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনায় আমি জিদ করে এই ব্যবসায় আসি। আমি নিজের সাথে চ্যালেঞ্জ নেই। যারা মিনিমাম রেঞ্জে কিনতে পারবে তাদের জন্যই আমি ব্যবসা ধরে রাখবো। মেয়েদের কাপড়ের সম্পর্কে তেমন কোনো আইডিয়া আমার ছিলোনা। টুকটাক বুঝতাম কিন্তু তেমন টা,, জানতাম না কিভাবে এগুলা আনবো,কোথা থেকে আনবো। কেনা কত বিক্রি কত,পেইজ কিভাবে খুলবো। একবারে জিরো নলেজ থেকে ব্যবসায় নামী। ১টা ভেন্ডর ছিলোনা, কেউ দেখিয়ে দেয়নি কোথা থেকে প্রোডাক্ট আনবো। সহজ ছিলোনা আমার জন্য এর উপর কপি/রেপ্লিকার ভয়,,
জীবন চলে যাবে মানুষ ঠকানো যাবেনা, কিন্তু আমার তো কিছুই জানা ছিলোনা।
আর মাত্র ১বছরের ব্যবধানে আলহামদুলিল্লাহ এইটুক বলে রাখি, বিন হামিদের মালিক রানা ভাইয়ের সাথে আমার সরাসরি যোগাযোগ, আমি বলতেও পারবোনা তার সাথে কিভাবে আমার কানেক্টে হয়ে গেলো।

সব আল্লাহর ইচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ ❤️